পদ্ম পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছে। পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় রয়েছে বাংলার বেশ কয়েকজনের নাম। কারও নাম ঘোষণা করা হয়েছে পদ্মশ্রী পুরস্কারের জন্য, কেউ আবার স্থান পেয়েছেন পদ্মভূষণ পুরস্কারের তালিকায়। সেক্ষেত্রে পদ্মশ্রী যাঁরা পাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বীরভূমের লোকগানের শিল্পী রতন কাহারও। যদিও এখনও দিল্লি যাওয়ার বিষয়ে কিছু জানান হয়নি শিল্পীকে।
রতন কাহার পাচ্ছেন পদ্মশ্রী





পদ্ম পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে। পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় রয়েছেন বাংলার বেশ কয়েকজন। কারও নাম ঘোষণা করা হয়েছে পদ্মশ্রীর জন্য, কেউ আবার স্থান পেয়েছেন পদ্মভূষণের তালিকায়। সেক্ষেত্রে পদ্মশ্রী যাঁরা পাচ্ছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বীরভূমের লোকশিল্পী রতন কাহারও।রতন কাহার মূলত বীরভূমের সিউড়ির বাসিন্দা। ভাদু গান গেয়েই সঙ্গীত জগতে পথ চলা শুরু। ১৯৭২ সালে তাঁর গান প্রথম রেকর্ড হয় রেডিয়োতে। সেই সময় পারিশ্রমিক হিসেবে পিয়েছিলেন ৭৭ টাকা ১৫ পয়সা। তবে পরবর্তীতে অন্য ধারার লোকও গান গেয়েছেন তিনি। টুসু, ঝুমুর এবং আলকাব গানে সিদ্ধহস্থ রতন কাহার এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০ গান লিখেছেন। তাঁর লেখা অন্যতম জনপ্রিয় গান 'বড়লোকের বেটি লো'।বড়লোকের বেটি লো গানটি প্রথম রেকর্ড করেন শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী। পরবর্তী সময় বলিউডের সঙ্গীত শিল্পী বাদশা তাঁর 'গেন্দা ফুল' গানে বড়লোকের বেটি লো গানটি দু'টি লাইন ব্যবহার করেননি। সেই গান ভীষণ জনপ্রিয় হয়। তবে রতন কাহারের নাম ব্যবহার না করার প্রবল সামলোচনার ঝড় ওঠে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার নেটিজেনদের চাপের মুখে পড়ে রতন কাহারের কাছে ক্ষমা চান বাদশা এবং সাম্মানিক হিসেবে তাঁকে পাঁচ লাখ টাকা পাঠান।এহেন রতন কাহার অবশ্য সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তাঁর চরম অর্থকষ্টের কথা। সঞ্চয় করা টাকা থেকে পাওয়া সামান্য সুদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোকশিল্পী ভাতায় কোনওরকমে সংসার চলে তাঁর। আক্ষেপের সুরে সেই সময় জানিয়েছিলেন, কেউ খোঁজ রাখে না। এবার সেই রতন কাহারের নামই পদ্ম পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করা হল।
এই প্রসঙ্গে শিল্পী রতন কাহারের ছেলে দেবাশিষ কাহার জানান, তাকে দিল্লি থেকে ফোন করা হয়েছিল এবং পদ্মশ্রী পাওয়ার বিষয়টি বলা হয়েছে। তবে পুরস্কার নিতে যাওয়ার বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি তাঁকে। এদিকে পদ্ম পুরস্কার প্রাপক হিসেবে রতন কাহারের নাম ঘোষণা হওয়ার খুশির বাতবরণ গোটা সিউড়ি তথা বীরভূমজুড়ে। অনেকেই মনে করছেন বৃদ্ধ বয়সে এসে রতন কাহারের এই স্বীকৃতি বাংলা লোকগানের মুকুটেও এক নয়া পালক।