জানালেন ‘আলোর কোলে’ জুটি কৌশিক-স্বীকৃতি
প্রযোজক হিসেবে প্রসেনজিৎ কেমন?





Zee বাংলায় শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ‘আলোর কোলে’ (Alor Koley)। পুপুল ও তার মৃত মা আলোর এক অদ্ভুত সম্পর্কের গল্প এই ধারাবাহিক। মা না থাকলেও তার অস্তিত্ব অনুভব করে পুপুল। আলোই যেন আড়াল থেকে আগলে রাখে পুপুলকে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) ‘এনআইডিয়াস ক্রিয়েশন’ প্রযোজিত এই ধারাবাহিক।
অনেকদিন পর টেলিভিশনে প্রোডাকশন নিয়ে আসা প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলছেন, “একটা সময় ‘এনআইডিয়াস ক্রিয়েশন’ থেকে আমরা অনেক টেলিভিশন প্রোডাকশন করেছি। অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ‘গানের ওপারে’। তাছাড়া ‘অদ্বিতীয়া’-র খুব নাম হয়েছিল। ‘গানের ওপারে’-র কথা বেশি বলব, কারণ ঋতুর (ঋতুপর্ণ ঘোষ) ক্রিয়েশন ছিল। প্রচুর নতুন মুখ এসেছিল, যারা পরবর্তীকালে সুন্দর কাজ করেছে। এবারে অনেকদিন পরে করছি। ‘Zee বাংলা’-য় ‘আলোর কোলে’ নিয়ে এলাম আমরা। এটাও খুব ইমোশনাল গল্প। তবে হ্যাঁ, ব্যবসা হিসাবে টেলিভিশনের আলাদা টার্গেট, আলাদা দর্শক। ফ্যামিলি অডিয়েন্সের কথা ভেবেই করা। মায়ের আবেগ ধরে করা। এই সিরিয়ালের বাচ্চাটি ইতিমধ্যেই খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ওকে নিয়ে লেখালিখি দেখছি। বাচ্চার চরিত্র ভালো লাগলে দর্শকের অন্যরকম গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়।”ধারাবাহিকে আলোর চরিত্রে অভিনয় করছেন ছোটপর্দার চেনা মুখ স্বীকৃতি মজুমদার। কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন তিনি? স্বীকৃতি বলছেন, “আপাতত ভালো প্রতিক্রিয়াই পাচ্ছি। অন্যরকমের একটা গল্প। এমন একটা চরিত্রও খুব চ্যালেঞ্জিং। থেকেও না থাকা, আবার না থেকেও থাকা– এটা সত্যিই খুব ইন্টারেস্টিং।” পুপুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন ঋষিতা নন্দী। তাঁর সঙ্গে স্বীকৃতির কেমন সম্পর্ক? “অফস্ক্রিন মা ও মেয়ের সম্পর্ক যেমন হয়। আমি ওকে যত না আদর করি, ও আমাকে আদর করে তার চেয়ে বেশি। ওকে আমি যে কোনও দিন অ্যাডপ্ট করে নিতে পারি”, হাসতে হাসতেই বলছিলেন স্বীকৃতি।এই সিরিয়ালে আলোর স্বামীর চরিত্রে কৌশিক রায়। তাঁর সঙ্গে কেমন সমীকরণ স্বীকৃতির? স্বীকৃতি বলছেন, “কৌশিকদা অনেকটা সিনিয়র ও অভিজ্ঞতাও বেশি। কৌশিকদা আমাদের একসঙ্গে অভিনয়ের দৃশ্যগুলোতে অনেকটা সাহায্য করছে আমাকে। আমাদের ফ্ল্যাশব্যাকের দৃশ্যগুলোয় ওইজন্য কেমিস্ট্রিটাও ফুটে উঠছে ভালভাবে।” প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনায় এই প্রথম কাজ স্বীকৃতির। কেমন লাগছে? স্বীকৃতির উচ্ছ্বসিত জবাব, “এই প্রোডাকশনে সবাই সবার কথা ভাবে। কেউ কারও সঙ্গে অধস্তনের মতো ব্যবহার করে না। বুম্বাদা নিজেও যথেষ্ট ইনভল্ভড। যেটা আমার খুবই ভালো লাগে।”