লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। তাই যেন তেন প্রকারেণ এই অঙ্গের স্বাস্থ্য ফেরাতে হবে। আর এই কাজে আপনার ব্রাহ্মাস্ত্র হতে পারে হাঁটা। কিন্তু দিনে কত পা হাঁটা উচিত? এছাড়া আর কোন কোন নিয়ম মেনে চলতে হবে? সেই সব বিষয়ে মুখ খুললেন বিশিষ্ট চিকিৎসক। আশা করছি, তাঁর পরামর্শ মেনে চললেই আপনি সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর পথে এক-কদম এগিয়ে থাকবেন।
দিনে কত পা হাঁটলে এড়াতে পারবেন লিভারের রোগব্যাধি





আমাদের শরীরের অন্যতম জরুরি অঙ্গ হল লিভার। এই অঙ্গটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া থেকে শুরু করে হজমে সাহায্যকারী উৎসেচক তৈরি, বিপাকের হার নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক জরুরি শারীরবৃত্তীয় কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে মুশকিল হল, আমাদের ভুলে ভরা জীবনযাত্রা এবং আজেবাজে খাবার খাওয়ার প্রবণতা এই অঙ্গের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। আর সেই সুবাদেই যকৃতে বাসা বাঁধছে কিছু জটিল-কুটিল অসুখ। তাই তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর তাগিদ থাকলে লিভারের স্বাস্থ্যের দিকে নজর ফেরাতেই হবে। আর এই কাজটি করতে চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটা মাস্ট।
একটা সময়ে অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের কারণে বেশিরভাগ রোগী লিভার সিরোসিসের ফাঁদে পড়তেন। অর্থাৎ সোজা ভাষায় বললে, অত্যধিক মদ্যপানই ছিল এই রোগের প্রধান কারণ। তবে গত কয়েক বছরে এই ধারা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। আজকাল মদ্যপান না করেও অনেকে সিরোসিসের মতো প্রাণঘাতী অসুখের খপ্পরে পড়ছেন। আর এই সমস্যার পিছনে কলকাঠি নাড়ছে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে তেল-ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। এমনকী প্রতিদিন হাঁটা মাস্ট। তাহলেই আর রোগের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে না।একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে দিনে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটলেই সবথেকে বেশি উপকার মিলবে। এমনকী এড়িয়ে চলা যাবে একাধিক রোগব্যাধির ফাঁদ। তবে বর্তমানে কিছু গবেষণা থেকে জানা যায়, সারাদিনে মাত্র ৫ থেকে ৭ হাজার পা হাঁটলেও একই রকম উপকার পাওয়া যাবে। আর ঘণ্টার হিসাবে বললে, পাক্কা ১টা ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে হাঁটুন। এই নিয়মটা মেনে চললেই লিভারের পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য অঙ্গও থাকবে সুস্থ-সবল।লিভারকে সুস্থ-সবল রাখতে চাইলে হেলেদুলে হাঁটলে তেমন একটা লাভ পাবেন না। বরং আপনাকে একটু জোরেই হাঁটতে হবে। হাঁটার সময় যেন ঘাম বেরয়, শ্বাস ফুলে ওঠে- এই বিষয়টা নিশ্চিত করুন।